আন ফ্রাংকের অমর বাণীসমূহ

আন ফ্রাংক একজন বুদ্ধিমতি ও দুরন্ত মেয়ে। তার জন্মদিনে একটি ডাইরি উপহার পায়। সেই থেকে ডাইরিটি হয় তার বন্ধু, তার বন্ধুর নাম দেয় কিটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার পরিবার তার বাবার অফিসের গোপন বাড়িতে আশ্রয় নেয়,সাথে ফনডান পরিবারও। বন্দী অবস্থায় তার সাথে সবার মনমালিন্য হয়। তাকে কেউ বুঝতে চায় না। সে খুব একা হয়ে পরে। কিটি তার সব থেকে ভাল বন্ধু হয়ে উঠে, কিটিকে তার সব রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। তাদের বন্দী জীবন নানা রকম ভাবে দূর্বিষহ হয়ে উঠে। সবসময় দুশ্চিন্তা কখন জার্মান সেনারা ধরে নিয়ে যায়, সারাদিন কোন শব্দ না করে চুপচাপ বসে থাকা কারণ পাশে অফিস চলে, খাবারের সমস্যা একই খাবার সপ্তাহের জন্য। আন একাকিত্ব অনুভব করতে শুরু করতে থাকে।পরে তার একাকিত্ব দূর করতে গিয়ে ফনডান পরিবারের ছেলে পিটারের প্রেমে পরে। পিটারের ভাবনায় তার সময় ভালই কাটতে থাকে। কিন্তু সে বুঝতে পারে পিটার তার যোগ্য নয়। কিটির সাথে সময় পার করে সে তার জীবনের লক্ষ্য খুজে পায়। তার লক্ষ্যের সে নিজেকে গড়তে শুরু করে নানা রকম বই, ভাষা শিখার মাধ্যমে। আর ভাবতে থাকে, প্রার্থনা করতে থাকে খুব শীঘ্রই যুদ্ধ শেষ হবে, আবার স্কুলে যাবে বন্ধুদের সাথে মজা করবে। কিন্তু তার ভাবনা সত্যি হবার আগেই জার্মান সেনারা তাদের গোপন আস্তনায় হানা দেয় তাদের ধরে নিয়ে যায়।
- সৃষ্টিকর্তা, আমার যা কিছু প্রিয়, সুন্দর সবই তোমার দান। এজন্য আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ।
- বই পড়ার চেয়ে আনন্দায়ক আর কিছুই নেই।
- সর্বক্ষণ আবেগ আর যুক্তির সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খুব কষ্টের।
- হাসি মুখে সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকাটাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
- একটা অভাব বোধ হয় আমাদের সব সময় ঘিরে রাখে।
- মেয়েরা কি অদ্ভুত! নিজেকে উজার করে দিতে চাই, কিন্তু কেউ হাত বাড়ালেই গুটিয়ে যাই।
- দুজন কাছাকাছি থাকলেই কেবল এক হওয়া যায় না। একে অন্যের অনুভূতিগুলো জানতে হয়, নতুবা পরস্পরকে বুঝবো কি করে?
- চারদিকে এত আনন্দ থাকতে কেন আমি সবার মতো ভেঙে পড়ব?
- মানুষকে তো বয়স দিয়ে বিচার করা যায় না, বিচার করতে হয় অভিজ্ঞতা দিয়ে।
- ছোটদের জ্ঞান দেবার আগে নিজেদের (বড়দের) শেখা উচিত।
- ধন-সম্পদের কথা এখন আর ভাবি না, ভাবি আমার জীবন নিয়ে।
- জীবনের ঝলমল দিকটাই আমার বেশি পছন্দ। পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর জিনিস আমি দেখতে চাই। সেই সঙ্গে যদি জীবনটাকে উপভোগ করার জন্য যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারি, তাহলে সোনায় সোহাগা।
- সবার মতে চলি না আমি, সবকিছুতে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে খুটিয়ে দেখতে চাই। আমার দৃষ্টি অন্যের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা বলে প্রাণ ভয়ে মুখ শুকিয়ে যায় সবার তখনও আমি প্রাণ খুলে হাসতে পারি। মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে বাচার যে আনন্দ, তা আমি উপভোগ করি কানায় কানায়।
- একজন বোকা লোক কি অন্যের বুদ্ধির ধার সহ্য করতে পারে?
- বড়রা এত দ্রুত রেগে যায়, চিন্তাই করতে পারবে না।
- আত্মগোপনের আগে আমাকে প্রকৃতি কখনও আকর্ষন করে নি। গভীর রাতে আকাশে পূর্ণিমার চাদ হাসতো, অথচ কখনও সে দৃশ্য আমার দেখা হয়ে উঠে নি। আমি তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। পাখির কলতানে, ফুলের পাপড়িতে রং এর বন্যা বইয়ে বসন্ত এসেছে আমি কখনও তাদের দিকে ফিরেও তাকাই নি।
- রাজনীতিই সম্ভবত একমাত্র বিষয় যাতে কোন মানুষই একমত হতে পারে না।এর কারণ, রাজনীতির কোন ভবিষ্যৎ নেই, তার বর্তমান কুয়াশাচ্ছন্ন আর অতীত বিতর্কিত।
- কাগজের ধৈর্য শক্তি অসীম।
- যে কোন ওষুধের থেকে মনকে অনেক দ্রুত ভাল করে দেয় প্রকৃতি।
- সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে যুদ্ধ করে নিজের ইচ্ছে মতো বেচে থাকাই জীবন।
- পৃথিবীর সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে নিজের পথ খুঁজে নিয়ে সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকা ভীষণ কঠিন। তবুও সেই চেষ্টাই সবার করা উচিত।
- ভালো পরিবেশে জন্মেছি, সুশিক্ষা পেয়েছি একটা সুন্দর জীবন পাওয়ার অধিকার আছে আমাদের। কিন্তু সেটা নিজদের অর্জন করতে হবে। অলস হয়ে বসে থাকলে হয়তো বেচে থাকা যাবে, কিন্তু বাচার সত্যিকারে আনন্দ পাওয়া যাবে না।
- তরুণ-তরুণীরা ইচ্ছে করলেই সুন্দর একটা পৃথিবী গড়তে পারে — সে শক্তি তাদের আছে। কিন্তু তারা কোন কিছু নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করে না, কেবল বাইরের পৃথিবী নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
- শিশুদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষ হওয়া।
- বাবা-মা সন্তানদের উপদেশ দিতে পারেন, সঠিক পথ দেখিয়ে দিতে পারেন।কিন্তু সেই পথ ধরে চলার দায়িত্ব কেবল সন্তানেরই।
- সত্যিকারের সাহসী হওয়াটা খুব কঠিন।
- পৃথিবীতে যদি কোন জনপ্রাণী না থাকত।
সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কমেন্টের মাধ্যমে জানান আপনার প্রিয় উক্তি কোনটি?